বরগুনায় ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ভাতার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ Latest Update News of Bangladesh

সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:২০ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




বরগুনায় ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ভাতার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

বরগুনায় ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ভাতার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

বরগুনায় ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ভাতার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ




বেতাগী প্রতিনিধি॥ বরগুনার বেতাগীতে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্যের বিরুদ্ধে মাতৃত্বকালীন ভাতার টাকা উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি ভুয়া নাম দিয়ে মাতৃত্বকালীন ভাতা, বিধবা, বয়স্ক ও জেলে ভাতা উত্তোলন করেন এবং এসব ‍ভাতা পাইয়ে দেয়ার নামে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন।

 

 

লিখিত অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ১নং বিবিচিনি ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সৈয়দ রিয়াজ হোসেন তার ওয়ার্ডের সৈয়দ মনির হোসেনের স্ত্রীর নামে মাতৃত্বকালীন ভাতা কার্ডে অর্ন্তভুক্ত করেন। ইউপি সদস্য রিয়াজ ও মনির হোসেন তার স্ত্রী নাসিমা বেগমের নামে মাতৃত্বকালীন ভাতার ১৮ হাজার টাকা উত্তোলন করে তারা ভাগাভাগি করে নেন।

 

 

ইউপি সদস্য সৈয়দ রিয়াজ হোসেনের বিরুদ্ধে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, জেলে কার্ড ও টিউবওয়েল দেয়ার নামে এলাকার একাধিক ব্যক্তির কাছ তিন থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয় ওবায়দুল হকের প্রতিবন্ধী মেয়ে নাফিয়া আক্তার (১২), হাকিম মিয়ার প্রতিবন্ধী ছেলে হাসানের (৩০) ভাতার টাকা উত্তোলন করে নিয়েছেন ইউপি সদস্য রিয়াজ।

 

 

এ বিষয়ে ওবায়দুল হক বলেন, ‘আমার মেয়ের প্রতিবন্ধী ভাতার ৯ হাজার ৬০০ টাকা উত্তোলন করে আমাকে মাত্র দুই হাজার টাকা হাতে দেন এবং বাকি টাকা রিয়াজ মেম্বার নিয়েছেন।

 

 

ইউপি সদস্য বিরুদ্ধে এসব অনিয়মের বিষয় উল্লেখ করে জনস্বার্থে লিখিত অভিযোগ তুলে ধরেণ ওই একই ওয়ার্ডের সচেতন বাসিন্দা মো: রুহুল আমিন। অভিযোগকারী রুহুল আমিন বলেন, ‘আমার আত্মীয়স্বজনসহ এলাকার একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে ভাতা কার্ডে নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য অবৈধভাবে টাকা নিয়েছেন।

 

 

এ ব্যাপারে অভিযোগ অস্বীকার করেন ইউপি সদস্য সৈয়দ রিয়াজ হোসেন বলেন, ‘আমি কোনো টাকা নেইনি। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে মিথ্যা নাটক করা হয়েছে।

 

 

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো: শাহীনুর রহমান বলেন, ‘নাসিমা আক্তারের নামে মাতৃত্বকালীন ভুয়া টাকা উত্তোলনের সত্যতা পাওয়া গেছে এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।

 

 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: সুহৃদ সালেহীন বলেন, ‘ইউপি সদস্য সৈয়দ রিয়াজ হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত চলছে। অভিযোগ সত্যতার প্রমাণ পাওয়া গেলে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD